কেন প্রয়োজন ?
উপরের সময়গুলোতে হাত ধোয়াকে সুস্থ্য থাকার শর্ত যখন বলছি তখন তার কারণ না বলাটা অযৌক্তিক। সুতরাং কেন আমরা তা করব জেনে নেয়াই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
১। ঘুম থেকে উঠার পর : আমরা যখন ঘুমাই তখন মূলত অচেতন অবস্থায় থাকি। ফলে ঘুমের সময়ে আমাদের হাত কোথায় থাকে তার কোন সঠিক ব্যাখ্যা দিতে পারি না। এমনও হতে পারে আমাদের হাত গুপ্তাঙ্গে লাগতে পারে বা অন্য লজ্জাস্থান যেমন বগলে যেতে পারে। সারা দিনের ঘামের ফলে জমে থাকা জীবাণূ আমাদের হাতের মাধ্যমে প্রথমত মুখে বা অন্যভাবে আমাদের শরীরে প্রবেশ করতে পারে। আবার যারা আমরা নিজেদের মুসলমান বলে দাবী করি তারা অজু করার সময় এই সব নাপাকী লেগে যেন ওজুর সমস্ত পানিকে নষ্ট না করে সেদিকেও খেয়াল রাখা হয়। আর এ বিষয়ে একটি হাদিস উল্লেখ করা যেতে পারে। নবীজি (সাঃ) অন্যতম সাহাবী বুসর ইবনে আরতাতের বংশধর আবুল ওয়ালীদ আহমাদ ইবনে বাক্কার আদ্-দিমাশকী (রাযি.) থেকে- আব হুরায়রা রাঃ হতে বর্ণিত। রাসুল (সাঃ) ইরশাদ করেছেন, তোমাদের কেউ যদি রাতে ঘুম থেকে জেগে উঠে তবে সে হাতে দুই বা তিনবার পানি ঢেলে তা পাত্রে ঢুকাবে, কারণ সে জানে না তার হাত কোন কোন স্থানে রাত কাটিয়েছে। (তিরমিযি, আবু দাউদ, নাসাঈ)
এছাড়া ঘুম থেকে উঠার পর যেহেতু নামায পড়ার জন্য অজু করতে হয়। সেহেতু হাত ধোয়ার প্রয়োজন হয়। কিন্তু যে কোন অংগ ধোয়ার আগে হাত ধোয়ার প্রয়োজন হয়। নিশ্চয়ই এরও কারণ আছে। আর কারণটি হলো মানুষ যত কাজ কর্ম করে তার সবচেয়ে বেশি কাজ হাত দিয়ে করতে হয়। ফলে হাতে নানা রকম জীবাণু, ময়লা আবর্জনা লেগে থাকে আর আগে হাত না ধুলে সেসব শরীরের অন্যান্য অংশে লেগে থাকতে পারে। ফলে আগে হাত ধোয়া দরকার। আর এজন্য যখনই ওজু করার প্রয়োজন হোক না কেন অবশ্যই প্রথমে হাত ধুতে হবে। তাছাড় কর্ম ব্যস্ত মানুষের হাতে কেমিক্যাল, বহুবিধ রোগ-জীবাণূ ও ময়লা আবর্জনা লেগেই থাকে। ফলে হাত না ধুয়ে নিলে তো তা মানুষের শরীরে প্রবেশ করবে বিনা বাধায়। আবার দেখা যায় ওজুর প্রথম শর্ত হাত ধোয়া এটি না হয়ে যদি হতো প্রথমে মুখে পানি দেয়া বা নাকে বা চোখে তাহলে কি হত একবার ভাবুন? আমার মনে হয়না এটি কোন সাধারণ চিন্তাভাবনার ফসল। চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের ভাষায় মানুষ যদি দিনের মধ্যে কয়েকবার ঠিক মতো হাত না ধৌত করে তাহলে একজিমা, ঘামাচি, তকের ইনফেকশন সহ অনেক চর্মজনিত রোগে আক্রান্ত হতে পারে।
উপরের সময়গুলোতে হাত ধোয়াকে সুস্থ্য থাকার শর্ত যখন বলছি তখন তার কারণ না বলাটা অযৌক্তিক। সুতরাং কেন আমরা তা করব জেনে নেয়াই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
১। ঘুম থেকে উঠার পর : আমরা যখন ঘুমাই তখন মূলত অচেতন অবস্থায় থাকি। ফলে ঘুমের সময়ে আমাদের হাত কোথায় থাকে তার কোন সঠিক ব্যাখ্যা দিতে পারি না। এমনও হতে পারে আমাদের হাত গুপ্তাঙ্গে লাগতে পারে বা অন্য লজ্জাস্থান যেমন বগলে যেতে পারে। সারা দিনের ঘামের ফলে জমে থাকা জীবাণূ আমাদের হাতের মাধ্যমে প্রথমত মুখে বা অন্যভাবে আমাদের শরীরে প্রবেশ করতে পারে। আবার যারা আমরা নিজেদের মুসলমান বলে দাবী করি তারা অজু করার সময় এই সব নাপাকী লেগে যেন ওজুর সমস্ত পানিকে নষ্ট না করে সেদিকেও খেয়াল রাখা হয়। আর এ বিষয়ে একটি হাদিস উল্লেখ করা যেতে পারে। নবীজি (সাঃ) অন্যতম সাহাবী বুসর ইবনে আরতাতের বংশধর আবুল ওয়ালীদ আহমাদ ইবনে বাক্কার আদ্-দিমাশকী (রাযি.) থেকে- আব হুরায়রা রাঃ হতে বর্ণিত। রাসুল (সাঃ) ইরশাদ করেছেন, তোমাদের কেউ যদি রাতে ঘুম থেকে জেগে উঠে তবে সে হাতে দুই বা তিনবার পানি ঢেলে তা পাত্রে ঢুকাবে, কারণ সে জানে না তার হাত কোন কোন স্থানে রাত কাটিয়েছে। (তিরমিযি, আবু দাউদ, নাসাঈ)
এছাড়া ঘুম থেকে উঠার পর যেহেতু নামায পড়ার জন্য অজু করতে হয়। সেহেতু হাত ধোয়ার প্রয়োজন হয়। কিন্তু যে কোন অংগ ধোয়ার আগে হাত ধোয়ার প্রয়োজন হয়। নিশ্চয়ই এরও কারণ আছে। আর কারণটি হলো মানুষ যত কাজ কর্ম করে তার সবচেয়ে বেশি কাজ হাত দিয়ে করতে হয়। ফলে হাতে নানা রকম জীবাণু, ময়লা আবর্জনা লেগে থাকে আর আগে হাত না ধুলে সেসব শরীরের অন্যান্য অংশে লেগে থাকতে পারে। ফলে আগে হাত ধোয়া দরকার। আর এজন্য যখনই ওজু করার প্রয়োজন হোক না কেন অবশ্যই প্রথমে হাত ধুতে হবে। তাছাড় কর্ম ব্যস্ত মানুষের হাতে কেমিক্যাল, বহুবিধ রোগ-জীবাণূ ও ময়লা আবর্জনা লেগেই থাকে। ফলে হাত না ধুয়ে নিলে তো তা মানুষের শরীরে প্রবেশ করবে বিনা বাধায়। আবার দেখা যায় ওজুর প্রথম শর্ত হাত ধোয়া এটি না হয়ে যদি হতো প্রথমে মুখে পানি দেয়া বা নাকে বা চোখে তাহলে কি হত একবার ভাবুন? আমার মনে হয়না এটি কোন সাধারণ চিন্তাভাবনার ফসল। চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের ভাষায় মানুষ যদি দিনের মধ্যে কয়েকবার ঠিক মতো হাত না ধৌত করে তাহলে একজিমা, ঘামাচি, তকের ইনফেকশন সহ অনেক চর্মজনিত রোগে আক্রান্ত হতে পারে।
0 মন্তব্যসমূহ