শিরোনাম

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

Responsive Advertisement

মিসওয়াকের পরিচয়

মিসওয়াক শব্দটি ‘সিওয়াক’ (           ) ধাতু থেকে নির্গত। যার অর্থ মাজা, ঘষা। মিসওয়াক শব্দটির অর্থ দাঁতন। পরিভাষায় বলা হয় মিসওয়াক হল গাছের নরম ডাল বা শিকড় যা দ্বারা দাঁত মাজা বা ঘষা হয়। আমরা বিশেষত গ্রামের মানুষ রাত্রে ঘুম থেকে উঠার পর নিম, বাবলা, শিশুগাছ, বা অন্য কোন প্রজাতীর গাছের ডাল ভেঙ্গে দাঁত দিয়ে চিবিয়ে নরম করে দাঁতের উপর দিয়ে ঘর্ষণ দেই সেগুলোই মিসওয়াক। অনেক সময় গাছের শিকড়ও এ কাজে ব্যবহার করি। সুতরাং বলতে পারি, মিসওয়াক বলতে সাধারণত গাছের (গাছটি অবশ্যই অবিষাক্ত হতে হবে) নরম ডাল বা শিকড় দ্বারা দাঁতের ময়লা, জীবাণু, অপ্রোয়জনীয় বস্তু বের করা বা পরিষ্কার করা বুঝায়।

    মিসওয়াক করা সুন্নত। বিশেষ করে নামাযের ওজুর সময়। অন্য সময় মিসওয়াক করা মুস্তাহাব। যে সব গাছের স্বাদ তিতা সেসব গাছের ডাল দিয়ে মিসওয়াক করা মুস্তাহাব।

    মিসওয়াক হিসাবে ব্যবহার করার জন্য আমরা বহু ধরনের গাছ ব্যবহার করি তন্মোধ্য নিম, বাবলা, যায়তুন, অর্জুন, শুঠি বা আটেশ্বরী (আমাদের অঞ্চলে এ নামেই পরিচিত অন্য নাম আমার জানা নেই), শিশুগাছ ইত্যাদি। অবশ্য এগুলো অনেক সময় হাতের কাছে না পেলে আম গাছের ডাল, খেজুরের ডাল, বাটুল গাছের ডাল ইত্যাদি ব্যবহার করে থাকি। তবে ব্যবহৃত গাছ বা এর রস বিষাক্ত না হলেই হবে বা ডালের আঁশ শক্ত না হলেই হবে। আমের গাছের ডাল, বাঁশের কঞ্চি বা বাঁশ, ফুলের গাছ, ক্ষতিকর বা কষ্টদায়ক কোন গাছ বা বস্তু দ্বারা মিসওয়াক করা মাকরূহ। বিষাক্ত কোন কিছু দ্বারা মিসওয়াক করা হারাম। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রায়হান ফুল গাছের ডাল দ্বারা দাঁতন করতে নিষেধ করেছেন। এটা কুষ্ঠ রোগের কারণ হতে পারে (তালকীস পৃ: ২৬)। যে কোন গাছের মিসওয়াক যে আমাদের কত উপকার করে তা ‘মিসওয়াক ও রাসায়নিক উপাদান’ অংশে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে ইনশাআল্লাহ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Innovative education, Creativity, Practical and Social implications